মঈন উদ্দীন: মুসলিম সভ্যতার প্রাচীন এক নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার  এ মসজিদ। এ মসজিদটি স্থাপত্যরীতিতে মোঘল ভাবধারার সুস্পষ্ট ছাপ রয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি অন্যসব মসজিদের মতো ইট বালির তৈরি হলেও স্থানীয়রা এই মসজিদকে ভিন্নভাবে চেনেন। 

উপজেলা সদরে হজরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলার রহ: ছেলে হজরত শাহ আব্দুর হামিদ দানিশ মন্দ রহ: মাজারসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি দেখতে প্রায় সবসময় আসেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটি এখন বিলুপ্তির পথে। 

তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের অবস্থান প্রায় ৩০ ফুট সুউচ্চ টিলার ওপর। বর্গাকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৭ ফুট, প্রস্থ ১৩ ফুট। চারপাশের দেয়াল ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি চওড়া। উত্তর ও দক্ষিণ লম্বাকৃতির মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে খিলান আকৃতির প্রবেশপথ। মসজিদের ইট ধূসর বর্ণের। এ ইটের দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬ ইঞ্চি এবং চওড়া দেড় ইঞ্চি। বর্তমান যুগের ইটের চেয়ে এর আকৃতি একেবারেই আলাদা। দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের পূর্বদিকে রয়েছে প্রবেশপথ।

ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে টিকে থাকা এই শৈল্পিক স্থাপনার শরীরজুড়ে এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। মসজিদের দেয়ালের কিছু কিছু অংশের পলেস্তা ধসে পড়েছে। তবে বর্তমানে এ মসজিদে আর নামাজ আদায় হয় না।

পর্যটকসহ স্থানীয়রা বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরনো নকশা অক্ষুণ্ন রেখে সংস্কার প্রয়োজন।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক আবির বিন কায়সার বলেন, মসজিদটি নারীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বলে এলাকায় প্রচলিত। তাই সেটির নাম ‘নারী মসজিদ’ হিসেবেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরনো নকশা অক্ষুণ্ন রেখেই মসজিদের সংস্কার করা হবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান